একটি বিদ্যালয় কেবল শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে পরিচালিত হয় না; এর প্রতিটি কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য পেছনে নিরলসভাবে কাজ করে যান সহায়ক স্টাফবৃন্দ। তারা অফিস পরিচালনা, দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ, শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুতকরণ, ছাত্র-শিক্ষক সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

অবসরপ্রাপ্ত স্টাফবৃন্দ হলেন সেই মানুষগুলো, যাদের পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কারণে বিদ্যালয় আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে।


✨ অবদানসমূহ

  • প্রশাসনিক সহায়তা
    • অফিস সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের নথি সংরক্ষণ, চিঠিপত্র পরিচালনা ও প্রশাসনিক কাজের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদকে সহায়তা করেছেন।
  • শিক্ষকদের সহযোগিতা
    • ক্লাস চলাকালীন প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান আয়োজন পর্যন্ত তারা ছিলেন শিক্ষকদের সহযাত্রী।
  • শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত
    • শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করেছেন।
    • অসুস্থ বা বিপদগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
  • অবকাঠামো ও পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ
    • ঝাড়ুদার, দারোয়ান বা মালি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল রেখেছেন।
    • খেলার মাঠ, বাগান ও ক্লাসরুম সর্বদা ব্যবহারোপযোগী করেছেন।
  • নীরব অবদান
    • তারা কখনো আলোচনায় আসেননি, কিন্তু তাদের ছাড়াই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম কল্পনা করা যেত না।
    • বিদ্যালয়ের প্রতিটি অর্জনের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম যুক্ত আছে।

🌟 কৃতজ্ঞতা

অবসরপ্রাপ্ত স্টাফবৃন্দ আমাদের প্রতিষ্ঠানের অদৃশ্য ভিত্তি। তারা ছিলেন বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবকের মতো—নীরবে, কিন্তু নিবেদিত প্রাণে। তাদের অবদান শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সকলেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।


📖 উপসংহার

আজ তারা হয়তো কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন, কিন্তু তাদের অবদান, ত্যাগ ও আন্তরিকতা চিরকাল পশ্চিম ফুলমতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। তারা আমাদের কাছে শুধু স্টাফ নন, বরং পরিবারেরই একজন সদস্য।