🏫 পশ্চিম ফুলমতি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার নওডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড, মৌজা ফুলমতিতে অবস্থিত। এটি গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ১৯XX সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রদান করে আসছে এবং সমাজে নৈতিক, মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশে ভূমিকা রাখছে।


অবস্থান ও পরিবেশ

বিদ্যালয়টি শান্ত ও সবুজ পরিবেশে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে রয়েছে বহুতল ভবন, সুপরিসর খেলার মাঠ, আধুনিক বিজ্ঞানাগার, আইসিটি ল্যাব এবং লাইব্রেরি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, খেলাধুলা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য এটি একটি আদর্শ পরিবেশ।


একাডেমিক তথ্য

  • শ্রেণি: ষষ্ঠ থেকে দশম
  • শাখা: বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা
  • শিক্ষার্থী সংখ্যা: আনুমানিক XXX+ জন
  • শিক্ষক সংখ্যা: XX জন
  • পাসের হার: গড়ে XX%+
  • মূল্যায়ন ব্যবস্থা: প্রাথমিক পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা, নবম ও দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী পরীক্ষা

বিষয়সমূহ

বিজ্ঞান শাখা: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ধর্মীয় শিক্ষা, আইসিটি, শারীরিক শিক্ষা।
মানবিক শাখা: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল ও পরিবেশ, সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ধর্মীয় শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, আইসিটি, শারীরিক শিক্ষা।
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ধর্মীয় শিক্ষা, আইসিটি, শারীরিক শিক্ষা।


অবকাঠামো

  • বহুতল প্রশাসনিক ও শ্রেণিকক্ষ ভবন
  • আধুনিক বিজ্ঞানাগার
  • আইসিটি ল্যাব
  • সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার
  • প্রশস্ত খেলার মাঠ
  • সাংস্কৃতিক মঞ্চ
  • নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা
  • শিক্ষার্থী বিশ্রামাগার ও স্যানিটেশন ব্লক

শিক্ষক ও কর্মচারী

বিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, যারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও চরিত্র বিকাশে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া অফিস সহকারী, এমএলএসএস, প্রহরী ও গ্রন্থাগারিকরা বিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে চালাতে সহায়তা করেন।

প্রধান শিক্ষক: জনাব ___________________
সহকারী প্রধান শিক্ষক: জনাব/জনাবা ___________________
সহকারী শিক্ষক (বিভিন্ন বিষয়): বাংলা, গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ইত্যাদি।


ম্যানেজিং কমিটি ও দাতা সদস্য

বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সক্রিয় ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে, যার নেতৃত্বে একজন সভাপতি এবং সচিব হিসেবে প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা দাতা সদস্যদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা ভবন নির্মাণ, খেলার মাঠ উন্নয়ন, লাইব্রেরি সমৃদ্ধকরণ ও আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছেন।


সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রম

বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে গুরুত্ব দেয়। প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ এবং বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে কাজ করার অভ্যাস, আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দক্ষতা অর্জন করে।


লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

বিদ্যালয়ের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের নৈতিক, মানবিক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রদান, সৃজনশীলতা ও গবেষণামুখী মনোভাব সৃষ্টি, সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, সমাজসেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষার পথে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীকে সমান শিক্ষার সুযোগ প্রদান করাও বিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য।


সমাজে ভূমিকা

বিদ্যালয় শুধুমাত্র শিক্ষার কেন্দ্র নয়; এটি স্থানীয় সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণ, স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দায়িত্ববোধসম্পন্ন, উদ্ভাবনী ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।